মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষীয় শক্তির সম্মিলিত ঐক্য প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই-আল্লামা জুবাইর
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব জাতীয় নেতা অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেছেন,- বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত রাষ্ট্রের আদর্শ ও রাষ্ট্রীয় দর্শন। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে, ঘোষনাপত্রের এ তিন আদর্শকে কোথাও রাষ্ট্রের আদর্শিক ভিত্তি হিসেবে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের এ আদর্শ ছাড়া রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে বলে ভয়াবহ বিপজ্জনক পথেই ধাবিত হচ্ছে রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিরোধী শাসন ব্যবস্থার কারণে আত্মিক, নৈতিক ও উচ্চতম আদর্শের রাষ্ট্রচিন্তা নির্বাসিত হয়েছে। ফলে সন্ত্রাস, দূর্নীতি, জঙ্গিবাদ, দুর্বৃত্তায়ন,কালো টাকা রজানীতিতে স্থায়ী আসন গেড়ে বসেছে। তাই রাজনীতির এ দুষ্টবৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে আসন্ন জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষীয় শক্তির সম্মিলিত ঐক্য প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। তিনি আসন্ন নির্বাচনে ইসলামিক ফ্রন্টের প্রার্থীদের চেয়ার মার্কায় ভোট দেয়ার জন্যও জনগণের প্রতি আহবান জানান। পীরে তরিকত আল্লামা সৈয়দ নাসেরুল হক চিশতী বলেছেন,- মানুষের নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটছে প্রতিনিয়ত। বিচারহীনতার সংস্কৃতি জগদ্বল পাথরের ন্যায় চেপে বসেছে। ফলে রাষ্ট্রীয় আইন, আইন-শৃংখলা বাহিনী ও বিচারিক আদালত জননিরাপত্তা বিধানে ক্রমাগত ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এম সোলায়মান ফরিদ বলেছেন,- রাজনীতিতে এক শ্রেণির উচ্চাবিলাসী অসাধু, লোভী ও আত্মপূজারী ব্যক্তির কারণে রূদ্ধ হয়ে পড়েছে প্রকৃত রাজনীতি চর্চা ও অনুশীলন। ফলে রাজনীতি হয়ে উঠেছে মহল বিশেষের কামনা-বাসনা চরিতার্থ ও ইন্দ্রিয়চর্চার অন্যতম মাধ্যম। উপরন্তু চিত্ত, বৈভব, যশ, খ্যাতি ও বৈষয়িক স্বার্থ হাসিলের মোক্ষম হাতিয়ার। আত্মস্বার্থ, গোষ্ঠিস্বার্থ, দলীয়স্বার্থ ও ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করা রাজনীতির অন্যতম অনুসঙ্গ হওয়াতে জনস্বার্থ ও জাতীয় স্বার্থ চরমভাবে উপেক্ষিত। ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা এম এম নাঈম উদ্দীন বলেছেন,- বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। দেশের সামগ্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা, গণমাধ্যম, ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে প্রশ্নবিদ্ধ। ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাস ও অর্থপাচারের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনায় এযাবতকালের সর্বপ্রকার অর্জনই ম্লান হতে চলেছে।
দক্ষিন জেলা ইসলামিক ফ্রন্টের সভাপতি স ম হামেদ হোসাইন বলেছেন,- নির্বাচন কমিশন যতই শক্তিশালী ও স্বাধীন বলে দাবী করুক না কেন, তা এখনও শৈশবের সেই কমিশনই রয়ে গেছে। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে যেহেতু নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন পরিচালনা করে সেহেতু নির্বাচন সংক্রান্ত কোন বিষয়েই কমিশন দায় এড়াতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনকে আবশ্যকীয়ভাবে অধিকতর দায়িত্বশীল ভুমিকায় এগিয়ে আসতে হবে। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে কমিশনের সর্বপ্রকার অন্তর্মূখীতা পরিত্যাজ্য হতে হবে। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার উদ্যোগে অদ্য ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ইং শনিবার বিকেল ০২টায় মইজ্যারটেকস্থ এম রহমান কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা ইসলামিক ফ্রন্টের সভাপতি স ম হামেদ হোসাইন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব জাতীয় নেতা অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান পীরে তরিকত আল্লামা সৈয়দ নাসেরুল হক চিশতী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জননেতা এম সোলায়মান ফরিদ, ইসলামিক ফ্রন্টে যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আ মা ম মুবিন, ঢাকা মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রিজভী, অধ্যাপক ছৈয়দ মোখতার উদ্দীন,অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, পীরে তরিকত আল্লামা এরশাদুল্লাহ রজায়ী । প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি ছাত্রনেতা এম এম নাঈম উদ্দীন। দক্ষিন জেলা ইসলামিক ফ্রন্টের সহ সাধারণ সম্পাদক স ম শওকত আজিজ ও আব্দুল্লাহ আল-মুমিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,- মাওলানা ওবাইদুল হক তৈয়বী,অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল আমিন, স ম শহীদুল হক ফারুকী, এম মহিউল আলম চৌধুরী,এ এম মঈন উদ্দীন চৌধুরী হালিম, আব্দুল্লাহ আল রেজা, শহীদুল্লাহ সাদা, হাফেজ নাছির উদ্দীন ,কাজী মাওলানা মফিজুর রহমান, মঈনুল ইসলাম ফরহাদ,জামাল উদ্দীন চৌধুরী, মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, হারিছ উদ্দীন দৌলতী, কফিল উদ্দীন রানা,এস.এম আবু সাদেক সিটু, মাওলানা বশির আহমদ, নুরুল হক সিকদার,হাফেজ মঈন উদ্দীন, মোজাম্মেল হক, আল্লামা ইদ্রিস আলকাদেরী, মনির উদ্দীন ইসলাম, কাজী সোলতান আহমমদ, এনামুল হক এনাম,মতিউর রহমান রিজভী, মউসলুল হক চিশতী, গিয়াস উদ্দীন জাহেদ তৌহিদ মুরাদ সুমন, আবু রেহান ফয়সাল প্রমুখ।