আল্লামা ছৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (রহ:) ও ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক (রহ:) এর স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত
ইসলামী আদর্শের সম্প্রসারণ ও বিস্তৃতিতে আল্লামা তৈয়ব শাহ (রা:) এর অনবদ্য অবদান বিস্মৃত হবার নয়
আল্লামা ছৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (রা:) ও ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক (রা:) স্মরণ সভায়———অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব জাতীয় নেতা অধ্যক্ষ আল্লমা জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেছেন,- নবুওয়াতের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আল্লাহর প্রিয় আউলিয়ায়ে কেরামরাই তাবৎ দুনিয়ায় ¯্রষ্টা মনোনীত দ্বীন আল ইসলামের প্রচার-প্রসারে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন ও করে চলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় পীরে কামেল আল্লামা হাফেজ ক্বারী ছৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (রা:) বিশ্বব্যাপী ইসলামী আদর্শের সম্প্রসারণ ও বিস্তৃতিতে অনবদ্য অবদান রেখে গেছেন। তিনি ইসলামের একজন অনন্য সেবক হিসেবে শুধু এ উপমহাদেশে নয় বরং দুনিয়ার দেশে দেশে অসংখ্য ধর্মীয় শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। ইসলাম বিকৃতকারী অপশক্তি কর্তৃক মুসলিম অনৈক্য সৃষ্টিকারী বিবিধ অপপ্রচার ও প্রপাগান্ডার বিপরীতে তিনি মুসলমানদের জন্য ত্রানকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে বিবিধ জটিল কঠিন সমস্যার-আশু সমাধান দিয়ে গেছেন। দুনিয়ার দেশে-দেশে তাঁর অসংখ্য-অগনিত ভক্ত মুরিদানরা ইসলামের মুলধারা সুন্নীয়ত এর প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানে নিরবচ্ছিন্ন খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। সত্যিকার অর্থে তিনি ইসলামী জাগরনের একজন মহান দিকপাল হিসেবে সুন্নী মুসলমানদের জন্য প্রাতঃস্মরনীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি কখনও কালগর্ভে হারিয়ে যাবার নয়। তাঁর পদাংক অনুসরন এর মাধ্যমেই জাতীয় জীবনে একটি সুস্থ, সুন্দর স্থিতিশীল ও মানবিক মুল্যবোধের সমাজ বির্নিমান সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অধ্যক্ষ আল্লমা জুবাইর- আরেক কিংবদন্তী মহাপুরুষ মরহুম হযরত ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক (রা:) এর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন,- মরহুম ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেকের মতো একজন মানবপ্রেমী ও সমাজ হিতৈষী মানুষ খুবই বিরল। যিনি উচ্চ শিক্ষিত তথা একজন উঁচুমাপের প্রকৌশলী হয়েও মানবসেবাকেই ব্রত হিসেবে বেচে নিয়েছেন। যিনি অবাঞ্চিত লোভ, মোহ এর উর্ধ্বে উঠে এবং উচ্চাবিলাসি চিন্তা চেতনাকে পদদলিত করে মানবতার সেবক হয়ে বেঁচে থাকাকেই শ্রেয় মনে করেছেন। যিনি দৈনিক আজাদীর মতো তত্ত্ব ও তথ্য নির্ভর বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আজীবন মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, যিনি আধ্যাত্মিকভাবে চরম উৎকর্ষতা সাধনের মাধ্যমে তরিকত জগতেও অনন্য এক অবস্থান সৃষ্টিতেও সক্ষমতা অর্জন করেছেন। যেকারণে তিনি উপমহাদেশের প্রখ্যাত অলিয়ে কামেল হযরতুলহাজ্ব আল্লামা ছৈয়দ আহম্মদ শাহ সিরিকোটি (রা:) এর খেলাফত প্রাপ্ত হয়ে ধন্য হন। প্রধান বক্তার বক্তব্যে আলহাজ্ব এ এম মঈন উদ্দীন চৌধুরী হালিম বলেন,-আল্লামা হাফেজ ক্বারী ছৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (রা:) একদিকে যেমন তরিকতের অধিষ্ঠানকে সকল শরীয়ত বিরোধী অপকর্ম এবং সমালোচকদের চক্রান্ত সম্পর্কে মুসলমানদের সাবধান করে দিয়েছেন, অপরদিকে নিজেকে আধ্যাত্মিক জগতের শীর্ষ চুড়ায় অধিষ্ঠিত করেছেন। একাধারে তিনি নিজে ছিলেন একজন মুহাক্কিক আলেম অন্যদিকে সাধকপুরুষ। এছাড়াও তিনি আজীবন আল্লাহর বান্দাদের আধ্যাত্মিক ময়দানে সুসংঘটিত করার নিবিড় প্রয়াস চালিয়ে গেছেন।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ডবলমুরিং থানা শাখার উদ্যোগে অদ্য ১১ অক্টোবর ২০১৮ইং রোজ বৃহস্পতিবার বিকেল ২টায় আগ্রাবাদস্থ সংগঠন কার্যালয়ে পীরে কামেল হযরতুলহাজ্ব আল্লামা হাফেজ ক্বারী ছৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (রা:) ও হযরত ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক (রা:)এর স্মরণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
ডবলমুরিং থানা ইসলামিক ফ্রন্টের সভাপতি আলহাজ্ব ডা: হাসমত আলী তাহেরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব জাতীয় নেতা অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম মঈন উদ্দীন চৌধুরী হালিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফ্রন্টের সভাপতি হাজী মুহাম্মদ আলম রাজু। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,- মাওলানা নুরুজ্জামান আলকাদেরী, আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মুহাম্মদ শাহজাহান, হাফেজ মুহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম খান, মাওলানা তাওহিদুল আলম রিয়াদ, রবিউল ইসলাম, আব্দুল ওয়াদুদ, মুহাম্মদ আবু তাহের ও এইচ.এম.জসিম উদ্দীন সোহেল প্রমুখ।
[related_post themes="flat" id="1020"]