আগামী অর্থ বছরের বাজেট ভাবনা–কলামিস্ট অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী।
১ জুন ২০২৩ ইং জাতীয় সংসদে পেশ করা হবে ২০২৩-২৪ সালের জাতীয় বাজেট। এটি বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ বাজেট। এদিকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচীও ইতোমধ্যে ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন। সম্ভবতঃ নির্বাচনী এ বছরে বর্তমান সরকার পেশ করতে যাচ্ছে দেশের ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা বড় বাজেট। সাম্প্রতিক সময়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এর সভাপতিত্বে এতদসংক্রান্ত আর্থিক মুদ্রা এবং মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল, বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটির এক ভার্চুয়াল বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়- আগামী ২০২৩-২৪ ইং অর্থবছরের জন্য ঘোষিতব্য বাজেটের আকার হবে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা। ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। (তবে চূড়ান্ত ঘোষনায় এক্ষেত্রে কম-বেশও হতে পারে)। আর বরাবরের মতোই এবারও ঘাটতি বাজেট উত্থাপন করতে যাচ্ছে মাননীয় অর্থমন্ত্রী। যাইহোক, বিশ্ব অর্থনীতির বেহাল দশা, মূল্যস্ফীতির উল্লম্ফন, অনিয়ন্ত্রিত নিত্যপণ্যের বাজার, সর্বোপরি রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজমান একপ্রকার অস্থিরতার মতো নেতিবাচক পরিস্থিতিতে আগামী বাজেট জনজীবনে কতটুকুন কার্যকর ভূমিকা রাখবে, তা এখন সকলেরই মুখ মুখে। উল্লেখ্য যে, বৈদেশিক বাণিজ্য ভারসাম্যের দরুন ব্যাপক ঘাটতিতে নিপতিত হয়েছে দেশ। চাহিদার তুলনায় যোগানের অপ্রতুলতায় মুদ্রা বিনিময় হারে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। যা নিয়ন্ত্রনে বাজেটে সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ থাকা জরুরী। বাজেটের আকার যতই বৃদ্ধি পাবে, ততই প্রকল্প ও আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। এসবের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবেচনায় নিয়ে উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। উল্লেখ্য যে, বিশ্বের অর্থনৈতিক সংকটাপন্ন পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। ফলশ্রুতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও সারের মূল্য তেমন হ্রাস পাবে বলে মনে হয়না। তাই এই দুটি পণ্যে ভতুর্কির চাহিদা এড়ানো কঠিনসাধ্য। উপরন্তু ক্রমবর্ধমান বৈদ্যুতিক চাহিদাও এ খাতটি ভতুর্কির আওতায় আসতে পারে। ফলে এতে ভর্তুকি অধিক বৃদ্ধি পাবে। আর মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণও হবে কঠিনসাধ্য। এবারের বাজেটের বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা। কেননা গত মার্চ’২৩ এ মূল্যস্ফীতি বিগত ৭ মাসের রেকর্ড অতিক্রম করে ৯ দশমিক ৩ এ স্পর্শ করেছিল। উল্লেখ্য যে, এখনও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান। বিশ্বের কোন দেশই এ যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। যৎকারণে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি অন্যতম প্রধান সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। সুতরাং আসন্ন বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাই অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিত। তাই ঘোষিতব্য এ পরিকল্পনা ও বাজেটকে বাস্তবমূখী করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনপ্রকার উচ্চাভিলাষী মনোবৃত্তিকে আশ্রয়- প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। যাতে চলমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এনে নিত্যপণ্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা যায়। বর্তমানে দেশে গড় মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ৯ শতাংশ। উপরন্তু বছরটিতেই অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এক্ষেত্রে ভোটারদের মনোরঞ্জনের বিষয়টিও ভাববে সরকার। ফলশ্রুতিতে মূল্যস্ফীতিকে আরও উস্কে দিতে পারে এ হাইভলিয়মের বাজেট। এছাড়া ভর্তুকির ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সচেতনতার পরিচয় দেয়া আবশ্যক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ মহল। কেননা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর একটি শর্ত হচ্ছে, ভর্তুকি হ্রাস করে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করা। অনস্বীকার্য বাস্তবতা হলো- প্রতি বছর রাজস্ব আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় তা পূরণ করা সম্ভব হয়ে উঠে না। যেজন্য বছর সমাপনান্তে দৃশ্যমান হয়ে থাকে ঘাটতি। এক্ষত্রে উপর্যুপরি দুটি অর্থবছর বাংলাদেশ ঘাটতিতে রয়েছে। ফলে তা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে আঘাত হানছে। আর এতে ক্রমাগত ঋণ এর দিকে ঝুঁকে পড়ে সরকার। অথচ রাজস্ব আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যদি একটু মনোযোগ নিবিষ্ট করা যায়, তাহলে কিছুটা হলেও ঘাটতি কমানো সম্ভব। আর ব্যয় এর ক্ষেত্রে টাকার অপচয় রোধসহ ঘাটতি মোকাবিলায় কর এবং খেলাপি ঋণ আদায়ে জোর দিতে হবে। চলতি অর্থবছরে ডলার সংকটজনিত কারণে আমদানি হ্রাস পাওয়ায় ভ্যাট এবং আমদানি শুল্ক আদায় কম হবে। আর পরবর্তী অর্থবছরেও যদি এমনটি হয়ে থাকে, তাহলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করা দুরূহ হতে পারে। যাইহোক, রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে অদ্যাবধি পুরোনো নিয়মের চর্চা-অনুশীলন অব্যাহত থাকাটাও রাজস্ব বৃদ্ধির পথে অন্যতম অন্তরায় হিসেবে কাজ করে। কেননা এক্ষেত্রে রয়েছে শুভংকরের ফাঁক। যেমন- ক্ষেত্র বিশেষে দেশের বিজনেস ম্যাগনেটদের বাড়তি সুবিধা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা বিবিধ অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রতি বছর ব্যাপক রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয় সরকার। তাই এক্ষেত্রে আশু সংস্কারেরও প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। আর এ মুহূর্তে বড় আকারের ঘাটতি বাজেট উপস্থাপিত হলে পরবর্তীতে তা বুমেরাং হওয়ার সম্ভাবনা সর্বাধিক। কেননা ঘাটতি পূরণে বৈদেশিক ঋণের উপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে পারে। যা হবে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এটি কোনভাবেই বিস্মৃত হবার নয় যে, অধিক হারে বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতা দক্ষিন এশিয়ার দুটি দেশ যথাক্রমে শ্রীলংকা ও পাকিস্তানকে ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। তাই আসন্ন বাজেটে বৈদেশিক ঋণ এর সূচক যাতে কোন অবস্থাতেই বিপজ্জনক মাত্রা ছাড়িয়ে না যাই সেদিকে গুরুত্বারোপ করতে হবে। আসন্ন বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জোর দেয়া আবশ্যক। কারণ প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেলে নিঃসন্দেহে কর্মসংস্থানে মিশ্র প্রভাব পড়বে। বিনিয়োগ বৃদ্ধির কৌশল অবলম্বনসহ ব্যয় এর ক্ষেত্রে সহনীয় পর্যায় নির্ণয়ের মাধ্যমে যুৎসই ভারসাম্য রক্ষা করে বাজেট প্রণয়নে এগুতে হবে। মিল-কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নজরদারী বাড়াতে হবে। রপ্তানি কার্যক্রম ও বৈদেশিক রেমিটেন্স প্রবাহের ক্ষেত্রে শ্লথগতি এড়াতে হবে। স্থিতিশীল করতে হবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। ফলশ্রুতিতে মুদ্রা বিনিময় হারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি নাগরিকদের থেকে সঞ্চয় ও আমানত বাড়ানোর ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। উপরন্তু ব্যাংক খাত থেকে ঋণ গ্রহণের প্রবনতা কমিয়ে বাজারে অর্থের প্রবাহ ঠিক রাখা গেলে মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা অনেকটা সহজ হবে। আর অর্থনৈতিক সংকটকালীন যেভাবে এল সি (ঋণপত্র) খোলা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল, তা আর অব্যাহত রাখা যাবে না। এক্ষেত্রে একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে আসতে হবে। পাশাপাশি এলসির নামে যাতে নন-মার্কেট দ্রব্যাদি ক্রয় করে ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করা না হয় সেদিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। যাইহোক, প্রতিবছর শিক্ষাখাতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্ণার থেকে একটি যৌক্তিক বরাদ্দের দাবী উঠে। কিন্তু দূঃখজনক হলেও সত্য যে, প্রস্তাবিত বাজেটে তার কার্যকর কোন প্রতিফলন দৃশ্যমান হয়না। বরাবরই উপেক্ষিত হয়ে থাকে এ দাবি। স্মর্তব্য যে, শিক্ষা হচ্ছে জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতি ও সাফল্যই দেশের সমৃদ্ধির সোপান হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। শিক্ষা ব্যবস্থার গতিশীলতার ক্ষেত্রে কোনরূপ ব্যত্যয় ঘটলে জাতীয় লক্ষ্যার্জন সুদুর পরাহতই হয়ে থাকবে। যৎকারণে ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ থাকলেও স্বাধীনতা পরবর্তী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার কর্তৃক শিক্ষা খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। ফলে ১৯৭২ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশের ঘোষিত ৭৮৬ কোটি টাকা মাত্র এর বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ১৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। যা ছিল বাজেটের ২২ শতাংশ। এছাড়াও শিক্ষা খাতের গুরুত্ব অনুধাবন করে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এর মাধ্যমে শিক্ষাকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে যে কোন দেশের শিক্ষা খাতের বাজেট মোট বাজেটের ন্যূনতম ১৫-২০% বা জাতীয় আয়ের ৪-৬% হওয়া প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী শিক্ষা খাতে জাতীয় বাজেটের ন্যুনতম ২০ শতাংশ বা জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দের বিষয়টি উল্লেখিত থাকলেও এক্ষেত্রে যোজন দূরত্বে রয়েছে বাংলাদেশ। এখনও জাতীয় বাজেট তথা জিডিপি উভয় ক্ষেত্রে প্রদত্ত বরাদ্দ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের অর্ধেক বা অর্ধেকের চেয়ে সামান্য বেশি। এছাড়াও ইউনেস্কো একটি সুস্থ, সুন্দর ও শিক্ষিত দেশ গড়ার জন্য বাজেটে শিক্ষা খাতে জিডিপির ন্যূনতম ৬ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া অধিকতর যৌক্তিক বলে মনে করে। কিন্তু অত্যন্ত দূঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে এযাবতকাল পর্যন্ত শিক্ষা খাতে বরাদ্দ সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৫ বা ৬ শতাংশ অতিক্রম করে নি। ফলশ্রুতিতে শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের অপরাপর দেশের চেয়ে অপেক্ষাকৃত পশ্চাৎপদ। এছাড়া উৎপাদনশীল খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষিত হবার নয়। কেননা উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। খাদ্যমূল্যে স্থিতিশীলতা আসে। আমদানি হ্রাস পায়। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়, জিডিপি প্রবৃদ্ধির গতিশীলতা বাড়ে। এমনকি তা দারিদ্র্য বিমোচনে অন্যতম অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। যেহতু কৃষি একটি প্রধান উৎপাদনশীল খাত, সেহেতু বরাদ্দের ক্ষেত্রে কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া আবশ্যক। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে, ক্রমশঃ বাজেটের আকার বৃদ্ধি পেলেও কিন্তু কৃষি খাতের বিপরীতে প্রদত্ত বাজেট সন্তোষজনক হয়না। বর্তমানে সার- বীজের দাম বর্ধিষ্ণু জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধিজনিত কারণে পানি সেচের দামও অধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষি পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। ফলে আশাব্যাঞ্জক লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হয় কৃষক। এমনিতর পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে কৃষি খাতের বরাদ্দ বৃদ্ধি করা অধিকতর সংগত। কেননা বাজেটের লক্ষ্যার্জনে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সরকারের পরিচালন ব্যয় সংকুচিত করার উপরও গুরুত্বারোপ করতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ মহল। উল্লেখ্য যে, বাজেটে নতুন নতুন বিষয় যুক্ত করার চেয়ে বিগত বাজেট বাস্তবায়নে কোথায় বাধার সৃষ্টি হয়েছে, তা নির্ণয় করে এতদপ্রেক্ষিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা অধিকতর যৌক্তিক।
পরিশেষে এটুকুই বলতে চাই যে, সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের পরিধি বৃদ্ধি করে মাথাপিছু বরাদ্দ বাড়ানো, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেক্টরে জাতীয় আয়ের ভিত্তিতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, আয় বৈষম্য কমাতে প্রগ্রেসিভ কর কাঠামো বিশেষতঃ আয়কর ক্ষেত্রে সংস্কার, সম্পদ কর পরিবর্ধন এবং পরিচালন ব্যয়ে কাটছাঁটসহ ইত্যাকার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হলেই সাধারণ মানুষের পক্ষে বাজেটের সুফল পাওয়া সম্ভব।
সূত্র: অদ্য ২৮ মে ২০২৩ ইং দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ।
[related_post themes="flat" id="1962"]